নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বহু অপকর্মের হোতা সালাহ উদ্দিন জাসেদকে। বুধবার (০৮ আগস্ট) মামলার শুনানি শেষে চাঁদাবাজির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সালাহ উদ্দিন জাসেদ উখিয়া নিদানিয়ার মেহের আলীর পুত্র।
মামলার বাদি হাজী ছৈয়দ আলম জানান, সালাহ উদ্দিন জাসেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, অপহরণ, নারী নির্যাতন, গাড়ি চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। যার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি। এই মামলার কার্যদিবস ছিল বুধবার। এই মামলায় সালাহউদ্দিন জাসেদ জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করে ।
সুত্রে জানা যায়, সালাহ উদ্দিন জাসেদ তাঁর যাবতীয় অপকর্ম আড়াল করতে জমি বিরোধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। আদালতে বার বার বিভিন্ন মামলার শুনানীতে সে জমির বিরোধ নিয়ে তাঁকে মামলা জড়ানো হয়েছে বলে অজুহাত দেয়। যা তাঁর অন্যতম অপকৌশল। ইতোমধ্যে তাঁর এমন চালচাতুরী বিষয়ে সবাই অবগত।
সালাহ উদ্দিন জাসেদের এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে ছৈয়দ আহমদ ও হাজী ছৈয়দ আলমের মধ্যে। সালাহ উদ্দিন জাসেদ ছৈয়দ আহমদকে নিজের দাদা পরিচয় দেয়। কিন্তু সালাহ উদ্দিন জাসেদের পিতার নাম মেহের আলী, মেহের আলীর পিতার নাম আবদুস সালাম। সালাহ উদ্দিনের আসল দাদা হল আবদুস সালাম,সে ছিল প্রকৃতপক্ষে একজন রাজাকার। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আবদুস সালামের অবস্থান ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাসেদের দাদা আবদুস সালাম পাকিস্তানে পালিয়ে যায়, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সালাহ উদ্দিন জাসেদ তাঁর পারিবারিক রাজাকার পরিচয় আড়াল করতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। মূলতঃ অন্যের জমি দখলের জন্য ছৈয়দ আহমদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে সালাহ উদ্দিন জাসেদ ব্যবহার হয়ে আসছে।

