সুমনসেন
আধুনিক যোগাযোগ অবকাঠামো দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। শুধু যোগাযোগ নয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নতুন গতি আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাগুরা, যশোর ও নারায়ণগঞ্জে তিনটি সেতু উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়, করোনার অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেয়ায়, সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সময়ে উদ্বোধন করা হয় পাবনায় নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চত্বর।
অবশেষে দুঃখ ঘুচলো নদীর কারণে বিভাজিত থাকা মাগুরা, যশোর ও নারায়ণগঞ্জের বিচ্ছিন্ন তিন উপজেলার। মাগুরায় মধুমতি নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুটি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত করবে এই এলাকাকে।
এছাড়া, যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদীতে নতুন করে নির্মাণ করা সেতুটির ফলে পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত হলো এই এলাকা। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু নির্মাণে ঢাকার সঙ্গে দুরত্ব কমলো ১৫ কিলোমিটার।
সরকার প্রধান বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে ত্বরান্বিত হবে মানুষের জীবনমানসহ অর্থনৈতিক সক্ষমতা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘এই তিনটি সেতু কিন্তু এ সমস্ত অঞ্চলগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে বিশেষ অবদান রাখবে। তাছাড়া আমরা পদ্মাসেতু করছি দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। যেটা আগে খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে আর সেই সমস্যাটা থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে যোগাযোগের একটা ব্যাপক নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলেছি। '
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সময়মতো ভ্যাকসিন পাবে দেশের মানুষ।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার আরেকটা ধাক্কা আসছে বিশ্বব্যাপী। আমরা সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমি বলব সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা এবং এর ফলে যেন মানুষের কোন ক্ষতি না হয়, কারণ প্রথম দিকে আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল না এখন আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত করার এই দায়িত্ব সকলকে পালন করতে হবে।'
করোনা মহামারির মধ্যেও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।

