অটোরিক্সা অবৈধ কিন্তু সিটি কর্পোরেশনকে জরিমানা দিলে হয় বৈধ



সাদ্দাম হোসেন মুন্না নারায়ণগঞ্জ 
 নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই। দূর্নীতি আর অনিয়ম প্রায় প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে নগরবাসির। এর কারন অনুসন্ধানে দেখাযায়, নাসিক কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অনিয়ম চলছে প্রতিনিয়ত। 
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করার অপরাধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের  অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত কিছু লাল জামা পরিহিত উচ্ছেদকর্মী “লাল বাহিনী” নামে পরিচিতদের দ্বারা নাসিক কর্তৃপক্ষ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে চলাচলরত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা আটক করে নিয়ে যায়। আর এই সব আটককৃত অটোরিক্সা নিয়ে রিক্সা চালক-মালিকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্রপ্রক্রিয়া। বেশীর ভাগ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালক ও মালিকের অভিযোগ নাসিক কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছে মত আটককৃত অটোরিক্সা প্রতি আর্থিক জরিমানা করছে প্রতিদিন। আর অপর দিকে আটকের ভয় দেখিয়ে নয়তো অটোরিক্সা আটকের পর অবৈধ ভাবে ছেড়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাল বাহিনী হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। যার বিচার দেয়ারমত কেহ নেই বা কোন দপ্তর ও নেই।
একজন অটোরিক্সা চালক অভিযোগ করেন, গত ১১ই নভেম্বর বেলা পৌনে ১১টার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অর্ন্তগত হাজীগঞ্জ মোড় হতে আমার অটোরিক্সায় ৩জন সংবাদকর্মী উঠে আমাকে কালীর বাজার যেতে বলেন। আমি তাদের নিয়ে কালিরবাজার এলাকায় আসলে নাসিক কর্তৃপক্ষের কোন উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াই লাল বাহিনীর সদস্যরা আমার রিক্সাটির গতিরোধ করে। এরপর যাত্রীদের নামিয়ে আমার অটোরিক্সাটি লাল বাহিনী আটক করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে নিয়ে যায়। এসময় যাত্রী সংবাদকর্মীরা লাল বাহিনীর কাছে তাদের পরিচয় দিয়ে বলেন অটোরিক্সাটি আমরা নিয়ে এসেছি আপনারা দয়াকরে এই রিক্সাটি ছেড়ে দেন। কিন্তু তাদের পরিচয় পেয়েও অশিক্ষিত এসব লাল বাহিনী কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে উল্টো তাদেও সাথে অশোভন আচরণ করে। 
এ বিষয়ে পরদিন ১২ই নভেম্বর দুপুরে নগর ভবনে সাংবাদিকরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল আমিন এর  সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এই অটোরিক্সাটি ছাড়তে পারবো না। আপনারা মাননীয় মেয়র মহোদয়ের কাছে যান। তিনি আরো বলেন, আমরা মাইকিং সহ বিভিন্ন প্রকার প্রচারণা করেছি এই অটোরিক্সা অনুপ্রবেশের বিষয়ে। তাছাড়া এই অটো চালককে তার মাত্র ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অন্যদেরতো ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 
অপরদিকে সংবাদকর্মীরা বলেন, আমরা অটোরিক্সা নাসিক কর্তৃক আটকের বিরোধে নই। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আমরা মাইটিভি’র ক্যামেরাম্যান, আনন্দ টিভি’র ক্যামেরা ম্যান এবং এশিয়া টিভির ক্যামেরা ম্যান জরুরী সংবাদ সংগ্রহের কাজে তাকে নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করি। নাসিক কর্তৃপক্ষকে বহু অনুরোধ করেও এই গরীব অটোচালকের জরিমানা মওকুপ করতে পারিনি। তাছাড়া গত বুধবার হতে আগামী রবিবার পর্যন্ত এই চালক এবং মালিকের আয় বন্ধ থাকবে শুধু নাসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায়। তাই মনে হয় নাসিক কর্তৃপক্ষকে জরিমানা দিলে অবৈধ অটোরিক্সাও হয় বৈধ।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.