জহুরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামে মহান বিজয় দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বলাকা সংঘের সভাপতি-সেক্রেটারীর দ্বন্দ্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
১৫ ডিসেম্বর রাতে এ সংঘর্ষে বনগ্রাম গ্রামের আজমত(৫৫), শাহীন(১৯), আজম (২৫), আলমগীর (৪৫), রফিকুল (৪৫) সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল এবং সিরাজগঞ্জ সদর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সংঘর্ষ চলাকালে কায়েমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতির বাড়ি সহ ৫টি বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বনগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলাকা সংঘের উদ্দ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাকজমকপূর্ণভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের অভিযোগ তুলে বিজয় দিবস উদযাপনে বাঁধা প্রদান করে ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া ও তার সমর্থিত সদস্যরা। এর জের ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষ, প্রতপক্ষের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য বিধি লংঘন করে বিজয় দিবস উদযাপন করার ব্যাপারে আমি আপত্তি জানালে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও আবু হানিফের নেতৃত্বে ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ২ থেকে ৩শ জন লাঠিসোটা, দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ঘর,দরজা,টিনের বেড়া, এমনকি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ ২ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও কায়েমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম বিপুলের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে পালসার মটর সাইকেল, ডেস্কটপ কম্পিউটার, ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ভাংচুর করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
এঘটনায় কালু আকন্দের বাড়ী, আনিছ আকন্দ ও মাসুদ আকন্দের বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি আরিফুর ইসলাম বিপুল জানান, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির লোক। বিজয় দিবসের দিনে তার বাড়ীতে হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। মামলা করার প্রস্তুতি চলছেও বলে জানান বিপুল। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, অভিযুক্ত বলাকা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে বিছিন্ন হয়ে আছেন। তার অপকর্ম ঢাকতে নিজেদের বাড়ী নিজেরাই ভেঙ্গে বাড়ী ঘর ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছেন। এই ভাংচুরের ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন জড়িত নয় বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।


