মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ৮ সেপ্টেম্বর "কুলিয়ারচর অনলাইন প্রেস ক্লাব" নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে "পিতৃহীন দুই ভাতিজিসহ মার উপর নির্যাতন সম্পত্তি জবরদখল মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিকার চান এক বৃদ্ধা" শিরোনামে একটি লিখা পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মৃত নাফুছ আলীর পুত্র কৃষক আলাল উদ্দিন। তিনি তার লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন "কুলিয়ারচর অনলাইন প্রেস ক্লাব" পেইজে আমার বিরুদ্ধে যেসব কথা লিখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার মানসন্মান ক্ষুন্ন করার হীনচক্রান্তে লিপ্ত হয়ে আমার ছোট ভাই মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. শরীফা, দুই ভাতিজি রুনা আক্তার ও লাইলা আক্তার রীনা আমার মা অর্ধ মানষিক রোগীকে ভুল বুঝিয়ে তাঁহার মাধ্যমে "কুলিয়ারচর অনলাইন প্রেস ক্লাব" নামক পেইজের এডমিনের নিকট মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ লিখাটি পোস্ট করিয়েছে। আমি এ লিখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আমার মানসন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্যদাতাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
প্রকৃতপক্ষে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার ছোট ভাই মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. শরীফা (বর্তমানে অন্যের স্ত্রী), দুই ভাতিজি রুনা আক্তার ও লাইলা আক্তার রীনা দলবল নিয়ে দেশীর অস্ত্রাধীসহ গত ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আমার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া আমার বাড়ির আঙ্গিনায় রোপিত বিভিন্ন প্রকার গাছপালা কেটে ক্ষতিকরাসহ আমার ছেলেকে খুন করার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শন করে। এ ঘটনা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল বিচারিক আদালত নং-২, কিশোরগঞ্জে ১৪৩, ৪৪৮, ৪২৭, ৫০৬(।।) ধারায় একটি সিআর মোকদ্দমা নং- ১৩৬/২১ দায়ের করি। মাননীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি আমলে নিয়ে অত্র মামলার অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে স্বাক্ষীদের জবানবন্দিসহ একটি প্রতিবেদন আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর ১৫১ নং স্বারক মূলে কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী উছমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর আদেশের অনুলিপি ও অবগতী ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ সংবাদ পেয়ে আমার বৃদ্ধ মা অর্ধ মানষিক রোগীকে আমার বিপক্ষে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আমার ছোট ভাই মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. শরীফা, দুই ভাতিজি রুনা আক্তার ও লাইলা আক্তার রীনা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য পরিবেশন করিয়েছে। যাহা আদৌ সত্য নয়।

