বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টনার্স ইন হেলথ্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) বাস্তবায়নাধীন ইউএসএআইডি সুখী-জীবন প্রকল্পের ইউনিয়ন ভিত্তিক স্থায়ী কমিটি ও ধমীয় নেতাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষায়ক ওরিয়েন্টেশন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে শনিবার ০৯ অক্টোবর,২০২১তারিখে, অনুষ্টিত হয়।
আমেরিকা জনগনের পক্ষ ইউএসএআইডি-র আর্থিক সহায়তায় এবং পাথফাইন্ডার এর নেতৃত্বাধীন ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত ইউএসএআইডি -সুখী জীবন নামক প্রকল্প সিলেট বিভাগের মোীলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। যা কিনা ব্যপ্তি, সর্বাঙ্গীনতা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার পরিস্থিতির মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন মাইজখাপন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব- মোঃ রোমেল উদ্দিন ভুইঁয়া।
উক্ত অনুষ্টানে অংশগ্রহনকারীগনের মধ্যে ছিল- ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যগন মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীনেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও প্রকল্পের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী ও ইউপি সচিব।
পিএইচডি ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর জনাব, আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় প্রকল্পের লক্ষ ও উদ্দেশ্য উপস্থাপনা করেন জনাব, রেজাউল করিম ভুইঁয়া, প্রকল্প সমন্বয়কারী, সুখী- জীবন প্রকল্প। প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন- জনাব- নূরুল ইসলাম সবুজ, মাঠ সমন্বয়কারী, সুখী- জীবন প্রকল্প। অনুষ্টানে বক্তারা জানান- পার্টনার্স ইন হেলথ্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (চঐউ) একটি জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটি, বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে নানাবিধ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ জেলায়-হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি করে ্ইউনিয়ন নিয়ে মোট ১২টি ইউনিয়নে সুখি-জীবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে- প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে নতুন বিবাহীত দম্পতি ও প্রথমবার বাবা-মা হয়েছেন এইরকম ৯০ জন সুবিধাভোগী এবং তাদের স্বামী বাছাই করা হয়েছে যারা প্রতি মাসে ২বার যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষষক বিভিন্ন মোবাইল বার্তা পাবেন। এই সমস্থ সুবিধাভোগীদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ৪টি গ্রæপ করা হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ৩জন স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করা হয়েছে যারা,প্রতি তিন মাসে প্রæপ মিটিং পরিচালনা করবেন।
অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি জনাব. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রাপ্তির হার এবং জরুরী স্বাস্থ্যসেবাসমূহের মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে আশা করেন।
এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকি হ্রাস পাবে। তিনি এই প্রকল্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।” তিনি প্রকল্পের সার্বিক সহায়তার পাশা-পাশি সিজি মিটিং, ইউএইচএন্ড এফডাবিøউসি মিটিং নিয়মিত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন এবং প্রকল্পের গ্রæপ মিটিং এ সরকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান। পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্টান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, সাড়ে ২ বছর মেয়াদী (মে-২০২১-এপ্রিল-২০২২) এই প্রকল্প, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার মোট ৪টি উপজেলা এবং সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার ৪টি উপজেলা মোট-২৪টি পার্টনার্স ইন হেলথ্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) বাস্তবায়ন করছে।


