সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে রাত-দিন চলছে বালি উত্তোলনের কর্মযজ্ঞ, বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ




আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড-

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কিছুতেই থামছেনা সমুদ্র থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি চক্র উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও শীপ ইয়ার্ড মালিকরাও জড়িয়ে পড়ছে এসব বালি ব্যবসায়। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কুমিরা ফেরিঘাটের দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ ১'শ মিটার লম্বা পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাত-দিন বিরতিহীন ভাবে চলছে বালি উত্তোলনের কর্মযজ্ঞ। কুমিরা ব্রীজের মাত্র ১৫ মিটার দূর থেকে জোড়া শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে লম্বা পাইপ লাইনের মাধ্যমে একটি  শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের পাশে প্রায় ২৫ শতক ধানি জমিতে বিশাল পরিখা খনন করে ফেলছে বালি। অন্যদিকে স্কেভেটর দিয়ে লোড করা হচ্ছে ড্রাম ট্রাকে। ঐখান থেকে ট্রাকে করে বাণিজ্যিকভাবে বালি চলে যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এসব অবৈধ বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত এলাকার কথিত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন বালি উত্তোলনের ফলে আলেকদিয়া ও কুমিরা বেরীবাঁধ ভেঙ্গে বর্ষার মৌসুমে নোনা পানি ডুকে প্লাবিত হয়েছে ফসলের মাঠ ও বসতভিটা। শুধু বেরীবাঁধ নয়, বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্কা সরকারের কোটি টাকায় নির্মিত কুমিরা ঘাটঘর ব্রীজ। বালি উত্তোলনের ফলে আগেই ভেঙ্গে যায় ঘাটের জেটি। পুনরায় নতুন করে তৈরী করা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার জেটিরও বেহাল দশা। ফাটল ধরেছে সম্পূর্ণ ব্রীজের। ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করছেন  সাধারণ যাত্রীরা। পর্যটন স্পট হিসেবে সদ্য ঘোষিত গুলিয়াখালী সি বীচও প্রায় বিলুপ্তির পথে। 
এ ব্যাপারে উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দীন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ বন্দরের এখতিয়ার, তারা বিষয়টি বলতে পারবে।  
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগামের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, সমুদ্র থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন চাইলে বালি মহাল আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে বন্ধ ও জরিমানা করতে পারে। তবে বালি উত্তোলনের ফলে পরিবেশের কোন বিপর্যয় ঘটলে এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.