নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মাঝিটারীর মধ্যে সহজেই সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ফুলকুমর নদীর উপর একটি কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়। অন্তত সপ্তাহ দুয়েক ধরে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই পুল পারাপার করতে হচ্ছে গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় পুলটির দুই পাশ দিয়ে তৈরী করা কাঠের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও পুলের একপ্রান্ত মোটামুটি চলাচল উপযোগী থাকলেও অপর প্রান্ত খুব মারাত্মকভাবে দেবে গেছে।
এর নিচে থেকে দেয়া বাশের খুটি ও ঠেস সরে যাওয়ায় এরুপ হয়েছে। খুব ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা পুলটিতে উঠলে তা অস্বাভাবিক ভাবে নড়তে থাকে। সবমিলিয়ে এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আন্ধারীঝাড় মাঝিটারী গ্রামের মহত চন্দ্র মাঝি বলেন, কয়টা কামলা খাটাইলে পুল টা বান্ধন দিয়ে একরকম ঠিক করা গেইল হয়। চেয়ারম্যান তাও করে না।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মিনা বেগম জানান, ভয়ে পুল পার হওয়া বাদ দিছি।আজ দশ বারোদিন থাকি এই অবস্থা। সাইকেল এলা মানুষ গুলা আইসে আর ঘুরি যায়। এছাড়াও মাঝিটারী ও আশপাশের গ্রাম গুলো থেকে অর্ধ-সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রতনপুর স্কুল ও সোনাইরখামার মাদ্রাসায় পড়তে আসে।
এ বিষয়ে রতনপুর এম.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, নদীর অপর প্রান্ত থেকে হাই স্কুল, প্রাইমারী এবং মাদরাসার প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আসে। কিন্তু এই পুলটি এখন শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে ।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির রায়গঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ জানান, কাঠের এই পুলের মাধ্যমে দুই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন সেবা পেয়ে এসেছে। কিন্তু এখন এটি চলাচলের অযোগ্য। দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এটির মেরামত করা হোক। আর অতিসত্বর এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।
রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যার আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল-ওয়ালিদ মাসুম বলেন, জনসাধারণের জন্য এখানে একটি ব্রিজ খুবই জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে একটি কাঠের পুল করে দেয়া হয়েছে। তবে চেষ্টা করছি ব্রিজ করার।
বরাদ্দ পেলে হয়ে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলগীর বলেন, এটি আমাদের প্রজেক্টে নাই। ভবিষতে হয়তবা কোন একদিন হতে পারে।


