সাব্বির হোসেন শরনখোলা প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলায় হত্যা মামলায় প্রায় ৪ মাস ধরে জেল হাজতে থেকেও সরকারি বেতন-ভাতার পুরো অর্থ গ্রহন করে যাচ্ছেন উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক । তবে , উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলামের যোগসাজশে ওই শিক্ষক এমন সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা কাঠ মিস্ত্রী মোঃ শাহ-আলম বিশ্বাসের স্ত্রীকে নিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ব্যাবসায়ী আ. রহমান হাওলাদারের সাথে কয়েক মাস পুর্বে বিরোধ দেখা দেয় । ওই ঘটনার জের ধরে চলতি বছরের ২২ জুলাই ভোরে শাহ আলম ও আ. রহমানের সাথে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
এ সময় ব্যাবসায়ী রহমানের পক্ষ নিয়ে পশ্চিম কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা (অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলার ৩০নং বগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আল আমীন হাওলাদার সহ ৩/৪ ব্যাক্তি একজোট হয়ে শাহ-আলম বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড় ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন প্রতিপক্ষরা । এক পর্যায়ে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রহমানের নেতৃত্বে হামলা কারীরা পালিয়ে যায় । পরে শাহ আলমকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্বার করে প্রথমে শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য ভর্তি করেন তার স্বজনেরা ।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুমেক হাসপাতালে স্থানন্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক । ওইখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সর্বশেষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দীর্ঘ ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত ১আগষ্ট ঢাকা মেড়িকেলে মারা যান শাহ-আলম বিশ্বাস । এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ ফারুক বিশ্বাস বাদী হয়ে স্কুল শিক্ষক আল আমিন হাওলাদার সহ ৭জনের বিরুদ্ধে গত ৪ আগষ্ট শরনখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন ।
উক্ত মামলায় ৩০নং বগী সরকারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল আমীন হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেফতার কওে জেল হাজতে পাঠায় । তারপর থেকে ওই শিক্ষক প্রায় ৪ মাস ধরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে অবস্থান রয়েছেন কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তার পুরো বেতন ভাতা জনতা ব্যাংক শরনখোলা শাখার ১০০২১২২৫৩৭৮৭ নং- হিসাবে নিয়মিত সরবারহ করে যাচ্ছেন ।
আল আমীন ২০১৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগদান করেন । অপরদিকে ,তবে , নাম গোপন রাখার শর্তে , উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক নেতা সহ কতিপয় শিক্ষক বলেন , আল আমিনের বিষয়টি আমাদের স্যার. শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন, কিন্তু ওদেও পরিবারের সাথে যোগসাজশ করে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে নিয়ম বর্হিভুত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এমনকি তিনি স্কুল মেরমতের চেক সরবারহের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কাছ থেকে ১০/১৫ হাজার টাকা করে অগ্রীম গ্রহন করে চলছেন । তার চাহিদা অনুসারে টাকা না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগী শিক্ষকদের । তারা শিক্ষা কর্তার এসব ঘটনার প্রতিকার দাবী করে অচিরেই তার অপসারন চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে । তবে , এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আশ্রাফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিপ করেননি।

