অনুমোদন বিহীন সিদ্ধিরগঞ্জে ৩০ শয্যার হসপিটাল চলছে আপারেশন



নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদন বিহীন ৩০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি দি পপুলার হসপিটাল উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ৩ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাইনাদী এলাকায় শাহ আলম ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় হাসপিটালটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। চলছে সিজার ও অপারেশন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের নামি দামি এমবিবিএস ডাক্তাররা এ হসপিটালে বসে রোগী দেখন সময় সূচি দিয়ে এমন সাইনবোর্ড ও হেন্ডবিল বিলি করা হচ্ছে। 
অনুমোদনহীন এ হসপিটালটি গড়ে তুলেছেন আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন। তিনি এম কে হোসেন নামে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিটাগাংরোড হীরাঝিল এলাকায় রজ্জব আলী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অনুমোদনহীন পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলে রোগী দেখতেন। গত বছরের ৮ জুলাই রাত ১০ টায় র‌্যাব-১১ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ভূয়া ডাক্তার হিসেবে গ্রেপ্তার ও হসপিটাল সিলগালা করে দেয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ১১ জুলাই ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ফের আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। কিছুদিন জেল হাসত বাস করে জামিনে বের হয়। বহু দৌড়ঝাপ করেও  পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব চালু করতে না পেরে কামাল হোসেন লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এমনকি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই দি পপুলার হসপিটাল গড়ে তুলেন।
অনুমোদন ছাড়া কি ভাবে হসপিটাল উদ্বোধন করা হয়েছে জানতে চাইলে কামাল হোসেন জানান, গণমাধ্যম কর্মীর কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক বলেন, অনুমোদন আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমাকে আমন্ত্রন করা হয়েছে তাই উপস্থিত হয়েছি।        
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার ( স্বাস্থ্য অধিদফÍর এবং প্রোগ্রাম অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ হসপিটালের বিষয়ে আমি অবগত নই। লাইসেন্স শাখার মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। 
মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবেদন করেছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি। যাচাই বাছাই চলছে। 
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো:  ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অনুমোদন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.