ইএইচডি কর্তৃক চরফ্যাশনে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত




জাকির আহমেদ চরফ্যাশন প্রতিনিধি 


ব্রিটিশ সরকারের FCDO এর আর্থিক সহযোগিতায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের নেতৃত্বে "সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশকীয় স্বাস্থ্যসেবা " প্রকল্পের পক্ষ থেকে আজ ২৬ই নভেম্বর ২০২০ইং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের হলরুমে “উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শীর্ষক এডভোকেসী সভা” অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের মাননীয়  চেয়ারম্যান জনাব জয়নাল আবেদীন আখন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের হেলথ ফিন্যান্স এডভাইজার জনাব মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সাদেক মিয়া, পিএইচডির মিল কোর্ডিনেটর আইরিন বাশার রিফাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও  উপস্থিত ছিলেন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আঃ সালাম, নীলকমল ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার, আবুবকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ জমাদার, আমিনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন । এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন পিএইচডি-ইএইচডি প্রকল্পের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী জনাব জাকির হোসেন ও রেজাউল করিম ভূইয়া, আরএইচস্টেপ এর ফিল্ড কোর্ডিনেটর এ.কে.এম জাহিদুল ইসলাম, ডিআরআরএ সুখেন সরকার সহ উপজেলা সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।  

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরফ্যাশন উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব জয়নাল আবেদীন আখন বলেন, দুর্গম ও প্রত্যেন্ত অঞ্চলে যেখানে দুর্যোগ ঝুকি বেশি সেখানে যদি বিভিন্ন সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দুর্যোগ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে। তিনি পিএইচডি-ইএইচডি প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান এরকম সুন্দর একটি এডভোকেসি সভা আয়োজনের জন্য। 


স্বাগত বক্তব্যে কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের জনাব জাকির হোসেন বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুকি নিরূপণ করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রদানের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করবো দুর্যোগকালীন ঝুঁকি হ্রাস করতে। সরকারের পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করবো উপকূলের জনগণের জন্য দুর্যোগ কালীন বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে।


ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে বলেন, উপকূলের সবচেয়ে দুর্যোগ ঝুকিতে যে কয়টা ইউনিয়ন রয়েছে তার মধ্যে ঢালচর অন্যতম। ঢালচর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ সংগঠিত হয়। EHD প্রকল্পের মাধ্যমে যদি দুর্যোগপূর্ব বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সচেতনতামূলক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দুর্যোগকালীন ক্ষতি হ্রাস পাবে।


এডভোকেসী সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুহুল আমিন বলেন, উপকূলীয় এলাকার জনগণ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। উপকূলের দুর্গম ও প্রত্যেন্ত অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া যায় এবং দুর্যোগ পরবর্তী যেসকল বিষয় রয়েছে সে ব্যাপারে তাদের ধারণা দেয়া এবং বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হলে দুর্যোগ ঝুঁকি কমে আসবে। তিনি EHD প্রকল্পের জন্য শুভকামনা এবং ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।


বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর সার্বিক তত্বাবধানে ব্রিটিশ সরকারের FCDO এর আর্থিক সহযোগিতায় Partners in Health and Development (PHD) বরিশাল বিভাগের ৮টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.