শেরপুরের নকলায় মাথায় জাতীয় পতাকা ও গায়ে মনি পতাকা জড়িয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা




মো.সুজন মিয়া , শেরপুর প্রতিনিধি:-

শেরপুর জেলার সদর উপজেলাসহ সব কয়টি উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে দশম দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।এ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে জেলার নকলা উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বেধে ও গায়ে মনি পতাকা জড়িয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

৫ ডিসেম্বর (শনিবার)  নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলিয়ে, মাথায় জাতীয় পতাকা ও গায়ে মনি পতাকা জড়িয়ে প্রায় সকল স্বাস্থ্য কর্মীরা সারিবদ্ধ ভাবে বসে আছেন।

বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করছেন বলে তাঁরা জানান।

নকলায় চলমান এ কর্মবিরতিতে হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।

জানা গেছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদানের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে ২৫ নভেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষে তাঁরা দৃঢ় মনোবলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দিয়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় চিঠি প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন, যতই সমস্যা আসুক না কেন, আমরা সবাই একসাথে মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ।

 এবিষয়ে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. মশিউর রহমান জানান, আমাদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা কর্মবিরতি পালন করে আসছি। তিনি বলেন, পূরে ঘোষনা অনুযায়ী আমরা যৌক্তিক কারনেই আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় করতে সক্ষম হবো। এরজন্য আমরা সকলে একতাবদ্ধ আছি, সত্যের পথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের দাবী গুলো স্বাস্থ্য বান্ধব সরকার তথা ভয়ক্সিন হিরো খ্যাত সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, পূর্ব ঘোষিত দাবী পূরনের বাস্তবায়নে আমাদের মরতে হলে মরবো; তবে সকলে (২৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী) একসাথেই মরবো। বাঁচতে হলেও সকলেই একসাথে বাঁচব। এবার আমাদের  অস্তিত্বের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে, সাথে মান-সম্মান প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ও বলা চলে। দীর্ঘদিন পর এবার আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর পিছু হাটাঁর সুযোগ নেই। তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

মা ও শিশুর ভবিষ্যৎ চিন্তায় দাবী মেনে নেওয়ার সরকারের পূর্বঘোষণা গুলো বাস্তবায়ন করা দরকার বলে মনে করছেন সবপেশা শ্রেণির জনগন।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.