রামু প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের রামুর দূর্গম গর্জনিয়া থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সরাসরি বুধবার থেকে আবারও চালু করতে যাচ্ছে কক্সলাইন ও রামু লাইন সার্ভিস। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১ টায় গর্জনিয়া বাজারের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক মাঈনুদিন খালেদ'র সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুহিববুল্লাহ চৌধুরী জিলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবক আলহাজ্ব ইদ্রিস সিকদার,রামু ও কক্সলাইন মালিক সমিতির নেতা মুজিবুল হক কোম্পানি, জাহাঙ্গীর আলম কোম্পানি, ওয়াজেদ আলী বাদল কোম্পানি, মোঃ ফজল কোম্পানি, মিজানুর রহমান কোম্পানি, কচ্ছপিয়ার বিশিষ্ট মুরুব্বি মওলানা আবু আবদুল্লাহ জহির উদ্দিন বদরু, জাহাঙ্গীর আলম সিকদার,আবদুর রহিম সওদাগর, মাষ্টার ফইজুল হাসান,সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন টুক্কু, সাবেক মেম্বার আবু আইয়ুব আনসারী, আবুল কালাম আবু, প্রমুখ। এতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে সিএনজি চালকদের কাছে জিম্মি ছিল গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-দোছড়ি ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষ। রামু থেকে গর্জনিয়া ১৩ কিলোমিটার এ সড়কে সিএনজি চালকরা করোনা কালে গর্জনিয়া থেকে রামু জন প্রতি ৭০-৮০ টাকা এবং বর্তমানেও যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০-৬০টাকা ভাড়া আদায় করে আসছে। এছাড়াও সন্ধ্যা হলে তিন গুণ ভাড়া আদায়সহ প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানির শিকার হচ্ছে। এসব কারণে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার সচেতন মানুষের আহ্বানে সাড়ে দিয়ে রামুর কক্সলাইন ও রামু লাইন মলিক সমিতির নেতারা এগিয়ে আসেন। তাই আবারো কক্সলাইন ও রামু লাইন চালু হলে সিএনজি চালকদের জিম্মি দশা থেকে পরিত্রাণ পবে এ এলাকার মানুষ। এ সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে গর্জনিয়া থেকে সরাসরি কক্সবাজার ৫০ টাকা, গর্জনিয়া থেকে রামু ২৫ টাকা আর নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ২০ টাকা ভাড়া নেওয়ার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। মালিক সমিতির নেতা মুজিবুর রহমান জানান প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টা ও ৮ টায় এ ভাবে আদা ঘন্টা পর পর কক্সলাইন ও রামু লাইন গাড়ীর ছাড়বে গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার গেইট হইতে। এদিকে এ গাড়ী সার্ভিস চালুর খবরে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
সংবাদ প্রেরক
মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ
রামু প্রতিনিধি
মোবাইল নাম্বার ০১৮২৬৩০৪৭৬৬।

