রামুর কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সব ধরণের ফিঃ বন্ধঃ দায় স্বীকার প্রধান শিক্ষক!




সাইদুজ্জামান
রামু প্রতিনিধিঃ

রামুর 'কচ্ছপিয়াতে অ্যাসাইনমেন্টের টাকা তোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন' এমন শিরোনাম করে, জেলা বিভিন্ন পত্রিকা মধ্য একটি বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচার হলে, টনক নড়ে শিক্ষা অফিসের কর্তৃপক্ষ।

নিউজের সুত্রধরে, ১৬ নভেম্বর সোমবার সকালে দ্রুত স্কুলে ছুটে আসেন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার সালাউদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম স্কুলে আসে । দীর্ঘ তদন্ত ও অভিযোগ প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারকে স্কুলের নানা বিষয় নিয়ে জেরা করেন তিনি। এসময় তদন্ত টিমের কাছে সন্তোষ জনক জবাব দিতে না পেরে, নুরুল আবছার নিজের ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে স্কুলের অ্যাসাইনমেন্টসহ যাবতীয় ফিঃ না নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি উত্তোলনকৃত টাকা, করোনা পরবর্তী মাসিক ফিঃ এর সাথে সম্বনয়ক করে নেওয়া জন্য নির্দেশনাজারি করেন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার। এসময়, উক্ত নির্দেশনার বিষয়ে দ্রুত নোটিশসহ ওয়েভ সাইডে প্রচার করার কড়া নির্দেশ দেন এই কর্মকর্তা। পরে, হাই স্কুলের পশ্চিম পাশের খেলার মাঠ পরিদর্শন করে। উক্ত মাঠটি খেলার উপযোগী করতে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও নির্দেশ দেন জেলা শিক্ষা অফিসার সালাউদ্দিন আহাম্মদ।

গতকাল রামুর কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্টসহ যাবতীয় ফিঃ অতিরিক্ত নেওয়ার প্রতিবাদে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। ১৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টার দিকে, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে, কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রী অভিভাবকদের আয়োজিত মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে, স্কুলের শিক্ষার্থী,অভিভাবক সহ সুজীল সমাজের লোকজন বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষার্থীরা, তাদের স্কুলের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারকে অপসারণ করে, শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দেশে করোনা কালীন সময়ে, বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় হয়ে, অ্যাসাইনমেন্ট ফিঃ না নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা দিলেও, তাদের স্কুলে তা মানা হচ্ছে না। কোন শিক্ষার্থী তাদের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের দাবী কৃত টাকা দিতে না পারলে, তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তাদের অ্যাসাইনমেন্টও জমা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। এই ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহানগীর আলম সিকদার জানান, প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমার নির্দেশ অমান্য করে, মনগড়াভাবে টাকা উত্তোলন করছে। আর ওই টাকার কোন রকম রশিদও শিক্ষার্থীদের না দিয়ে নিজের মত করে কাজ করছে বলে জানান তিনি। 

খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা ঐদিন ছুটে আসেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদে। এসময় মানববন্ধনে আসা উপস্থিত অভিভাবক,ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন. মানববন্ধন করার দরকার নেই। আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে লিখব। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না বলে আশ্বাসও দিয়েছিল।


সংবাদ প্রেরক

মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ 

০১৮২৬৩০৪৭৬৬।
Share on Google Plus

About alokitochattagramprotidin.com

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.